×
অনুসন্ধান

এখন আমার জীবনে কি ঈশ্বর আছেন?

আপনি যখন এই সিদ্ধান্ত নেবেন এবং যীশুকে আপনার জীবনে আসার জন্য অনুরোধ করবেন, তখন এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে, ঈশ্বর কি আপনার কথা শুনেছেন? হ্যাঁ। প্রথম যোহন ৫:১৪ বলে যে,‘‘ ঈশ্বরের উপর আমাদের এই নিশ্চয়তা আছে যে, তাঁর ইচ্ছামত যদি আমরা কিছু চাই তবে তিনি আমাদের কথা শোনেন।’’ যীশু আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, যদি আমরা তাঁকে অনুরোধ করি তখন তিনি আমাদের জীবনে প্রবেশ করবেন।

প্রকাশিত বাক্য ৩:২০ পদে যীশু বলেছেন,‘‘ দেখ, আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ঘা দিচ্ছি। কেউ যদি আমার গলার আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেয় তবে আমি ভিতরে তার কাছে যাব এবং তার সংগে খাওয়া-দাওয়া করব, আর সে-ও আমার সংগে খাওয়া-দাওয়া করবে।’’ আপনি কি ঈশ্বরের কাছে আপনার হৃদয়ের দরজা খুলে দিয়েছেন? যদি তা করে থাকেন, তাহলে তিনি আপনার জীবনে যা করবেন সে সম্বন্ধে তিনি আপনাকে কী বলেছেন? ঈশ্বর কি আপনাকে ভুল পথে চালিত করতে পারেন?

যোহন ৬:৩৭ পদে, যীশু বলেছেন,‘‘ পিতা আমাকে যাদের দেন তারা সবাই আমার কাছে আসবে। যে আমার কাছে আসে আমি তাকে কোনমতেই বাইরে ফেলে দেব না,’’ এবং যোহন ১০:২৭-২৯ এ যীশু বলেছেন যে, ‘‘আমার মেষগুলো আমার ডাক শোনে। আমি তাদের জানি আর তারা আমার পিছনে পিছনে চলে।আমি তাদের অনন্ত জীবন দিই। তারা কখনও বিনষ্ট হবে না এবং কেউই আমার হাত থেকে তাদের কেড়ে নেবে না।আমার পিতা, যিনি তাদের আমাকে দিয়েছেন, তিনি সকলের চেয়ে মহান। কেউই পিতার হাত থেকে কিছু কেড়ে নিতে পারে না।’’

যীশু আমাদের পাপের জন্য ক্রশে মৃত্যুবরণ করেছেন, যাতে করে আমরা তাঁর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি। এই বিষয়টি নিয়ে তিনিও অভিন্ন নন। আমরা যাতে তাঁর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি সেজন্য তিনি মহা ত্যাগ করেছেন। যীশু আমাদের পাপ নিজের উপর তুলে নিয়েছেন এবং আমাদেরকে তাঁর ধার্মিকতা দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন, যেটি আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে ক্ষমা পেতে এবং তাঁর মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এজন্য আমাদেরকে ভাল জীবন-যাপন, ধর্মীয় রীতি-নীতি পালন, অথবা তাঁর কাছে বছরের পর বছর ধরে ভিক্ষা চাইতে হয় না। আমরা যাতে ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারি সেজন্য তিনি নিজেই এটাকে আমাদের জন্য সম্ভবপর করে তুলেছেন। আর আমরা যা করতে পারি তার উপর ভিত্তি করে নয় কিন্তু তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন সেটার উপর ভিত্তি করেই আমরা তাঁর কাছে আসি। তিনি আমাদের পাপের মূল্য দিয়ে দিয়েছেন, যাতে করে আমরা পাপের ক্ষমা পাই এবং তাঁকে আমাদের জীবনে আসতে দিই। প্রথম পিতর ৩:১৮ বলে যে,‘‘ খ্রীষ্টও পাপের জন্য একবারই মরেছিলেন। ঈশ্বরের কাছে আমাদের নিয়ে যাবার জন্য সেই নির্দোষ লোকটি পাপীদের জন্য, অর্থাৎ আমাদের জন্য মরেছিলেন।’’

একজন ব্যক্তি যখন যীশুকে তার জীবনে আসার জন্য অনুরোধ করে, তখন এটি খোলাখুলি এভাবে হয়ে থাকে: ‘‘ সদাপ্রভু, আমি তোমার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই, আমি চাই তুমি আমার জীবনে আস, এবং তুমি আমার জীবনে যা করতে চাও সেটাই কর।’’ এটি হল তাঁকে আমাদের জীবনের প্রভু হিসেবে গ্রহণ করার একটি সিদ্ধান্ত। যদি আপনি এটা করে থাকেন, তবে ঈশ্বরের সাথে আপনার সম্পর্কের সত্যতা বিষয়ে ঈশ্বর যা বলেছিলেন সেটাকে জানাটা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ :

  • আপনি ঈশ্বরের সাথে শান্তিতে রয়েছেন--

    ‘‘বিশ্বাসের মধ্য দিয়েই আমাদের নির্দোষ বলে গ্রহণ করা হয়েছে আর তার ফলেই প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর ও আমাদের মধ্যে শান্তি হয়েছে।’’ (রোমীয় ৫:১)

  • আপনি ঈশ্বরের একজন সন্তান হয়ে উঠেছেন--

    ‘‘তবে যতজন তাঁর উপর বিশ্বাস করে তাঁকে গ্রহণ করল তাদের প্রত্যেককে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দিলেন।’’ (যোহন ১:১২)

  • আপনি আর অন্ধকারে নেই--

    ‘‘কারণ তোমরা আগে অন্ধকারে থাকলেও এখন প্রভুর সংগে যুক্ত হয়ে আলোতে এসেছ।’’ (ইফিষীয় ৫:৮)

    ‘‘কারণ তিনি অন্ধকারের রাজ্য থেকে আমাদের উদ্ধার করে তাঁর প্রিয় পুত্রের রাজ্যে এনেছেন।এই পুত্রের সংগে যুক্ত হয়ে আমরা মুক্ত হয়েছি, অর্থাৎ আমরা পাপের ক্ষমা পেয়েছি।’’ (কলসীয় ১:১৩,১৪)

  • আপনাকে ক্ষমা করা হয়েছে--

    ‘‘সব নবীরাই তাঁর বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তাঁর উপরে যারা বিশ্বাস করে তারা প্রত্যেকে তাঁর গুণে পাপের ক্ষমা পায়।” (প্রেরিত ১০:৪৩)

    ‘‘ঈশ্বরের অশেষ দয়া অনুসারে খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত হয়ে তাঁর রক্তের দ্বারা আমরা মুক্ত হয়েছি, অর্থাৎ পাপের ক্ষমা পেয়েছি।এই দয়া ঈশ্বর তাঁর মহা জ্ঞান ও বুদ্ধির সংগে খোলা হাতে আমাদের দান করেছেন।’’ (ইফিষীয় ১:৭, ৮)

    ‘‘আমাদের প্রতি ঈশ্বরের ভালবাসা এইভাবে প্রকাশিত হয়েছে তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে এই জগতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন যেন আমরা তাঁর মধ্য দিয়ে জীবন পাই।আমরা যে ঈশ্বরকে ভালবেসেছিলাম তা নয়, কিন্তু তিনি আমাদের ভালবেসে তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যেন পুত্র তাঁর নিজের জীবন-উৎসর্গের দ্বারা আমাদের পাপ দূর করে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করেন। এটাই হল ভালবাসা।” (১ম যোহন ৪:৯,১০)

  • আপনাকে অনন্ত জীবন দেওয়া হয়েছে--

    “আমি আপনাদের সত্যিই বলছি, আমার কথা যে শোনে এবং আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন তাঁকে বিশ্বাস করে তার অনন্ত জীবন আছে। তাকে দোষী বলে স্থির করা হবে না; সে তো মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে গেছে।’’ (যোহন ৫:২৪)

    ‘‘সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদের অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং সেই জীবন তাঁর পুত্রের মধ্যে আছে।ঈশ্বরের পুত্রকে যে পেয়েছে সে সেই জীবনও পেয়েছে; কিন্তু ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নি সে সেই জীবনও পায়নি। তোমরা যারা ঈশ্বরের পুত্রের উপরে বিশ্বাস কর, তোমাদের কাছে আমি এই সমস্ত লিখলাম যাতে তোমরা জানতে পার যে, তোমরা অনন্ত জীবন পেয়েছ।’’ (১ম যোহন ৫:১১-১৩)

  • আপনাকে পবিত্র আত্মা দিয়ে সীলমোহরকৃত করা হয়েছে--

    ‘‘আর তোমরাও সত্যের বাক্য, অর্থাৎ পাপ থেকে উদ্ধার পাবার সুখবর শুনে খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস করেছ। খ্রীষ্টের সংগে যুক্ত হয়েছ বলে ঈশ্বর তাঁর প্রতিজ্ঞা করা পবিত্র আত্মা দিয়ে তোমাদের সীলমোহর করে রেখেছেন।’’ (ইফিষীয় ১:১৩)

  • ঈশ্বর আপনাকে কতটা ভালবাসেন সে সম্পর্কে আপনি জানতে শুরু করবেন--

    ‘‘যদি তোমরা আমার মধ্যে থাক আর আমার কথাগুলো তোমাদের অন্তরে থাকে তবে তোমাদের যা ইচ্ছা তা-ই চেয়ো; তোমাদের জন্য তা করা হবে।যদি তোমাদের জীবনে প্রচুর ফল ধরে এবং এইভাবে তোমরা নিজেদের আমার শিষ্য বলে প্রমাণ কর তবে আমার পিতার গৌরব হবে। পিতা যেমন আমাকে ভালবেসেছেন আমিও তেমনি তোমাদের ভালবেসেছি। আমার ভালবাসার মধ্যে থাক।আমি আমার পিতার সমস্ত আদেশ পালন করে যেমন তাঁর ভালবাসার মধ্যে রয়েছি, তেমনি তোমরাও যদি আমার আদেশ পালন কর তবে তোমরাও আমার ভালবাসার মধ্যে থাকবে। এই সব কথা আমি তোমাদের বললাম যেন আমার আনন্দ তোমাদের অন্তরে থাকে ও তোমাদের আনন্দ পূর্ণ হয়।’’ (যোহন ১৫:৭-১১)

ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কের মধ্য দিয়ে বৃদ্ধি পাওয়া:

ঈশ্বরকে আরও ভালভাবে জানার জন্য, তাঁর বাক্য (বাইবেল) এর সাথে সময় কাটান এবং তিনি যাতে নিজেকে আপনার কাছে আরও বেশি করে প্রকাশ করেন এবং আপনার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন সেজন্য তাঁকে অনুরোধ করুন। এক্ষেত্রে যোহন লিখিত সুসমাচার (নতুন নিয়মের চতুর্থ পুস্তকটি) শুরু করার জন্য একদম উপযুক্ত।

আর তাঁর সাথে খোলাখুলিভাবে কথা বলুন। আমাদেরকে এই বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে যে, ‘‘ কোন বিষয় নিয়ে উতলা হোয়ো না, বরং তোমাদের সমস্ত চাওয়ার বিষয় ধন্যবাদের সংগে প্রার্থনার দ্বারা ঈশ্বরকে জানাও। তার ফলে, ঈশ্বরের দেওয়া যে শান্তির কথা মানুষ চিন্তা করেও বুঝতে পারে না, খ্রীষ্ট যীশুর মধ্য দিয়ে সেই শান্তি তোমাদের অন্তর ও মনকে রক্ষা করবে।’’ (ফিলিপীয় ৪:৬,৭)