×
অনুসন্ধান

আপনার নিঃশ্বাসকে ধরে রাখবেন না

এই অনুচ্ছেদটিতে কীভাবে ঈশ্বরের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়া যায় সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে

প্রথমে যখন আমরা ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্ক তৈরী করি, তখন আমরা বেশিরভাগ সময় একটা মধুচন্দ্রিমার সময়ের মধ্য দিয়ে যাই। ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্ক, আমাদের সহভাগিতা পুনরুদ্ধার হয়। আমরা আমাদের পাপের ক্ষমা পাই। সবকিছু চমৎকার হয়ে যায়।

আর এই বিষয়টা অসাধারণ।

কিন্তু পতিত বিশ্বে, অসাধারণ কোন কিছুই নিখুঁত নয়। আর মধুচন্দ্রিমা পর্যায়টি শেষ হতে বেশি দেরী হয় না। আর খ্রীষ্টের সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা নিজেদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লটবহর নিয়ে চলতে দেখি।

ঈশ্বর আমাদেরকে নতুন এক হৃদয়, নতুন অনুপ্রেরণা, নতুন দিক দিয়েছেন কিন্তু এই মধুচন্দ্রিমা পর্যায়ে আমাদের পুরোনো সত্তাটি থেকেই যায়। সেটা শুধু গ্যারেজে লুকিয়ে থাকে।

একবার সি.এস. লুইস বলেছিলেন,‘‘ আপনি যখন বাতাসের বিপরীতে হাঁটার চেষ্টা করবেন তখনই আপনি বাতাসের বেগ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।’’

লুইস এটা বোঝাতে চেয়েছিলেন যে আপনি যখন পাপ করা কমিয়ে দিতে চাইবেন ঠিক তখনই আপনি পাপের ক্ষমতার বিষয়টি বুঝতে পারবেন। আর এখন, বিশ্বাসী হিসেবে ঈশ্বরের সাথে চলার জন্য চেষ্টার সময়ে আমরা প্রথমবারের মত পাপ এবং অপরাধবোধ নিয়ে সংগ্রাম করতে শুরু করি।

যখন আমি একজন খ্রীষ্টিয়ান যুবক ছিলাম, তখন আমার যে বিষয়টির পরিবর্তন দরকার ছিল সেটা হল আমার কথা বলা। আমি অনর্গলভাবে অপবিত্র কথা বলেছি। আমি দিব্যি দেওয়া ছাড়া একটা কথাও বলতে পারতাম না। আর আমার প্রথম বাইবেল অধ্যয়নে যাওয়ার কথা আমার মনে আছে এবং সেখানে কেউই আমার পছন্দের শব্দগুলো বলছিল না। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে আমার পরিবর্তিত হওয়া দরকার। আর আমি পরিবর্তিত হলাম।

কিন্তু এখন, এখানে একটা বিভ্রান্তি রয়েছে। যে কেউ যেকোন খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে। যে কেউ নতুন বছরের জন্য সংকল্প গ্রহণ করতে পারে। একটা গাড়ির গতিবেগ কমানোর জন্য আমি নিজেকে থামাতে পারি। কিন্তু সড়কের রাগ, অধৈর্য্যতা বদলানোটা ভিন্ন। এইসব বিষয়গুলো আরও গভীরের বিষয়।

আমি মনে করি যে, আমরা যখন নিজেদেরকে পবিত্রতায় বৃদ্ধি পেতে দেখি, তখন আমরা বুঝতে পারি যে এর আরও নিচে গভীরতম কোন পাপ আছে। আমার মনে হয় যে এই পর্যায়ে এসে আমাদের মনে হয় আমরা নিজেদের মাথার উপরে আছি। আমার মনে করি যে এই পর্যায়ে আমরা বুঝতে পারি আমরা নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পারি না। কিন্তু এটা আমাদেরকে চেষ্টা করা থেকে থামিয়ে রাখতে পারে না।

আমার মনে হয় যে আমাদের প্রত্যেকেরই পাপকে মোকাবেলার ক্ষেত্রে বা লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সবার একই বুনিয়াদি কৌশল রয়েছে। প্রথমে, আমার মনে হয় আমরা খুব চেষ্টা করি। এই ক্ষেত্রে আমরা আরও বেশি করে চেষ্টা করি। আর সেই চেষ্টা যখন কাজ না করে, তখন আমরা আমাদের প্রতিজ্ঞা এবং এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের ইচ্ছা শক্তিকে চাঙ্গা করি। ‘‘আমি আর কখনও এমনটা করব না। আমি আর কখনও এটা করব না।’’

তারপর আমরা আবারও সেটাই করি। এভাবে আমরা যুক্তিবাদীতা এবং অস্বীকার করার দিকে এগিয়ে যাই। আমি মনে করি আমাদের নড়বড়ে চিন্তাভাবনা হল এটা,‘‘ দেখেন, যদি এটা আনুষ্ঠানিকভাবে পাপ না হয়, যদি এটা যৌক্তিকভাবে পাপ না হয়, তাহলে এটা তো পাপ নয়।’’ অথবা ‘‘যদি অন্য কেউ আমাকে দিয়ে এটা করায় তাহলে এটা পাপ নয়।’’

দেখুন, এটা সবসময়ে কাজে আসে না এবং তাই আমরা এরকম আত্ম-ঘৃণাপ্রবণ হয়ে পড়ি। তাহলে যেখানে আমরা নিজেদেরকেই ক্রশে দিতে পারছি সেখানে যীশুর ক্রশে মারা যাওয়ার কি কোন দরকার আছে? আর এতে করে আমরা নিজেদের বোঝা নিজেরাই বহন করতে পারছি। ‘‘বোকা, কেন তুমি আবারও এটা করবে?’’ আমার মনে হয়, আমরা হয়ত এমনটা ভাবি যে আমরা নিজেদের পাপের মূল্য নিজেরাই দিতে পারি।

ঠিক এই মুহূর্তে, আমাদের খ্রীষ্টিয় জীবন থেকে সমস্ত আনন্দ, সমস্ত জীবনীশক্তি হারিয়ে গেছে।

ঈশ্বরের সাথে আমাদের চলাফেরা পাপের শাসন ছাড়া কিছুই নয়। আমরা শুধু স্রোতের সাথে যাচ্ছি। কিন্তু যোহন ১০:১০ এ যীশু বলেন যে,‘‘ আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায়, আর সেই জীবন যেন পরিপূর্ণ হয়।’’ সত্যিই এখানে সমৃদ্ধশালী খ্রীষ্টিয় জীবন রয়েছে।

এখন বিশ্বাসী হিসেবে আমাদের স্বীকারোক্তি হল আমাদের পাপের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের ব্যবস্থা। আর স্বীকারোক্তির তিনটি বিষয় রয়েছে। প্রথমটিই সবচেয়ে কঠিন। এটা কঠিন বলেই যে কঠিন হবে তেমনটা নয়, এটা আমাদের জন্য অপরিচিত বলেই এটাকে কঠিন মনে হয়। যখন আমরা পাপ করি তখন আমাদের যা করা প্রয়োজন বা এর আগে যখন আমরা পাপের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছি, তখন আমাদের সেই পাপ করা থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন … এবং ঈশ্বরের সাথে এই বিষয়ে একমত হওয়া প্রয়োজন যে আমরা যা করেছি তা পাপ। প্রথম যোহন ১:৯ বলে যে,‘‘ যদি আমরা আমাদের পাপ স্বীকার করি তবে তিনি তখনই আমাদের পাপ ক্ষমা করেন এবং সমস্ত অন্যায় থেকে আমাদের শুচি করেন, কারণ তিনি নির্ভরযোগ্য এবং কখনও অন্যায় করেন না।’’

দ্বিতীয়ত, আমরা এই বিষয়ে একমত হই যে যীশু আমাদের পাপের মূল্য দেবার জন্য ক্রশে মৃত্যুবরণ করেছেন। আর তৃতীয়ত, আমরা একমত হই যে আমরা পাপের পথে থাকব না এবং ঈশ্বরের পথে চলব, যাকে আমরা অনুশোচনা বলে থাকি।

আপনি যদি এই প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে চিন্তা করেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে যখন আপনি খ্রীষ্টের কাছে এসেছিলেন তখন আপনি এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। কিছু সময় পর আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার সমস্যাটি পাপের কারণে হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আমি মাছ ধরছি এবং আমার মন কল্পনা করতে শুরু করেছে। আর বলা যাক যে, আমি লক্ষ্য করলাম যে একজন মহিলার স্নানের কাপড়টি তাকে খুব কমই ঢেকে রাখতে পারছিল আর ঠিক এই মুহূর্তেই আমি আমার পাপ বুঝতে পারলাম… যে আমি লালসা করেছি। ঠিক আছে, আমার কাছে কয়েকটি উপায় আছে। যার মাধ্যমে আমি আমার এই কাজটিকে যুক্তিযুক্ত করতে পারি। ‘‘দেখ, আমি শুধু একজন পুরুষ। তুমি কি জান না যে আমি কি করতে পারি?’’

অথবা আমি এটাকে ঠিক বলে প্রমাণ করতে পারি যে,‘‘দেখ, আমি তো ব্যভিচার বা এই ধরণের কোন কিছু করিনি।’’

আমি দোষারোপ করতে পারি,‘‘ মহিলাটি এমন পোশাক পরে ওখানে কি করছে?’’

অথবা আমি স্বীকার করতে পারি। আমি যে পাপ করেছি সেটা আমি ঈশ্বরের কাছে স্বীকার করতে পারি। ‘‘প্রভু যীশু, আমি আমার হৃদয় এবং মনে লালসা করেছি। আমাকে ক্ষমা কর।’’ আমি এই বিষয়ে একমত যে খ্রীষ্ট এই পাপের মূল্য দিয়ে দিয়েছেন। ‘‘প্রভু, আমার পাপের মূল্য দেবার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’’ আর আমি কখনও এমনটা করব না। ‘‘প্রভু, আমি আর কখনও লালসাপূর্ণ হবো না। আমি খাঁটি এবং পবিত্র জীবনযাপন করতে চাই।’’

স্বীকারোক্তির প্রক্রিয়াটি এমনই। আমরা প্রতিদিন, প্রতি ঘন্টা এবং যতবার পাপ করি ততবারই এমনটা করি।

পাপের স্বীকারোক্তির মানে হল আমরা এই পাপ মুছে ফেলেছি। আর ঈশ্বরের সাথে আমাদের সহভাগিতার সম্পর্ক পুনরুদ্ধার হয়েছে। আর এতে করে ভাল বোধ করার কথা, তাই না? আমি বলতে চাচ্ছি যে, এটা হল সতেজতাপূর্ণ একটি দীর্ঘশ্বাস নেবার মত। নিশ্চিতভাবেই এতে দারুণ অনুভব করার কথা। কিন্তু আমাদের আরও একটি বিষয় রয়েছে আর সেটা হল এই।

কিভাবে আমরা বার বার পাপ করা থেকে বিরত থাকতে পারি?

আমার মনে হয়, খ্রীষ্টিয়ান হিসেবে আমরা সকলেই এটা বুঝতে পারি যে, আমাদের জন্য অনন্ত জীবন রয়েছে এবং আমাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি অনেক সময়ই আমরা ভুলে যাই যে ঈশ্বরের আত্মা আমাদের ভেতরে বাস করেন। আমরা আমাদের নিজস্ব ক্ষমতা বা প্রচেষ্টায় যীশুকে অনুসরণ করতে পারি না।

পবিত্র আত্মা আমাদেরকে পরিচালনাদান এবং নেতৃত্বদান এবং ক্ষমতায়ন করা সহ আমাদেরকে অনুপ্রেরণাদান করতে চান। আসলে ইফিষীয় ৫:১৮ তে ঈশ্বর সত্যিই আমাদের আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন,‘‘ সম্পূর্ণভাবে পবিত্র আত্মার অধীনে থাক।’’ এখন, এটা হল একটি অংশীদারিত্ব, যেখানে আমাদেরকে ভূমিকা পালন করতে হবে। ঈশ্বরের ভূমিকা হল পরিচালনাদান, নেতৃত্বদান এবং ক্ষমতায়ন করা। আমাদের ভূমিকা, দুইভাগে বিভক্ত। প্রথমে আমাদেরকে তাঁর সাথে থাকা প্রয়োজন। সাথে থাকা হল এমন একটি শব্দ যেটি যীশু ব্যবহার করেছেন এবং মূলত এটা বোঝায় যে ‘নিজেকে ঘরেই প্রস্তুত করা।’

আমাদের দায়িত্ব হল সারাদিন ধরে যীশুর সাথে একটি ঘরে সময় কাটানো। আর এর মানে হল সারা দিনের সময়টুকুতে আমরা যতটা পারি ততটা তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠ হব।

এর মানে হল আমরা শুধুমাত্র দিনে একবার প্রার্থনা না করে সারাদিন ধরেই প্রার্থনা করব। এর অর্থ হল যখন আমরা কোন কিছু দেখব সেটার জন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। আমরা সারাদিন ধরেই তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। সারাদিন ধরেই তাঁর প্রশংসা করব, যখনই আমাদের মনে কিছু আসবে তখনই আমরা তাঁর প্রশংসা করব। আমরা শুধুমাত্র তাঁরই প্রশংসা করব। আর যখনই আমাদের জীবনে পাপ আসবে, যখন আমরা আত্মার মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হব তখনই আমরা আমাদের পাপস্বীকার করব। আমরা যখন ধন্যবাদ দিচ্ছি, প্রশংসা করছি, পাপ স্বীকার এবং প্রার্থনা করছি, তখন এর মাধ্যমে আমরা সারাদিন ধরেই ঈশ্বরের সাথে ঘনিষ্ঠ জীবনযাপন করছি।

আমরা তাঁর সাথে রয়েছি এবং এর ফলে আত্মা আমাদের ক্ষমতায়ন এবং আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়েছে।

দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে নির্ভরতা। আপনি হয়ত লক্ষ্য করে থাকবেন যে কিছু মানুষ অনবরতভাবে নিজেদের জলের বোতল বা তাদের কফির কাপ নিয়ে হাঁটাহাটি করছে। সারাদিনে, যখনই তাদের প্রয়োজন হয় তখনই তারা এক চুমুক খেয়ে নেয়।

এটা হল এক ধরণের নির্ভরতার ব্যবস্থা। যখন তারা একা থাকে, তখন তারা এক চুমুক খায়। যখন তারা ভয় পায় তখন তারা এক চুমুক খেয়ে নেয়। যখন তারা চিন্তামগ্ন থাকে ,তখন তারা এক চুমুক খেয়ে নেয়। যখনই তাদের কোন প্রয়োজন হয় তখনই তারা এমনটা করে। নিজেদের জীবনের একটা পিপাসা মেটানোর মতই তারা এক এক চুমুক দেয়। আর আত্মার সাথে চলার মানে হল সেই নির্ভরতার ব্যবস্থা যেটি ঈশ্বরের দিকে নিয়ে যায়।

আর এর মানে হল সারাদিনের যেকোন সময়ই আমরা এই প্রয়োজন অনুভব করতে পারি। ‘‘প্রভু, আমাকে জ্ঞান দাও। প্রভু, এই সময়ে আমাকে শক্তি দাও। প্রভু আমাকে কি করতে হবে তা আমি জানি না। প্রভু, তুমিই আমাকে পরিচালনা দান কর।‘’

আমরা যখন ঈশ্বরের উপর নির্ভর করি এবং যখন আমরা আমাদের সাধ্যমত তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করি, তখন ঈশ্বর আমাদেরকে পরিচালনাদান, নেতৃত্বদান এবং ক্ষমতায়ন করেন।

আচ্ছা, আমরা এখানে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ফেলেছি। আর আমি চাই যেন আমরা যা বলেছি সেটা আপনি মনে রাখতে পারেন। তাই আমি আপনাদেরকে শ্বাস-প্রশ্বাসের একটি উদাহরণ দেখিয়ে দেব, ঠিক আছে? যখন আপনি শ্বাস নিচ্ছেন, তখন আপনি শ্বাস ত্যাগ ও শ্বাসগ্রহণ দুটিই করছেন।

শ্বাস ত্যাগ এবং শ্বাস নেওয়া

শ্বাস ত্যাগ করা হল পাপ স্বীকারের মত। এটার মানে হল দূষিত বাতাসকে বের করে দেওয়া। মনে রাখবেন, স্বীকারোক্তি এর ভিত্তি হল তিনটি। আপনি যে পাপ করেছেন সেটা আপনি ঈশ্বরের কাছে স্বীকার করছেন। আপনি এই বিষয়ে সম্মত হয়েছেন যে খ্রীষ্ট আপনার পাপের মূল্য দিয়ে দিয়েছেন। এবং আপনি অনুতাপ করার মাধ্যমে সেই পাপের পথ থেকে সরে যাবেন বলে প্রতিজ্ঞা করছেন। এটাই হল শ্বাস ত্যাগ করা, যার মাধ্যমে আপনি দূষিত বাতাস বের করে দিচ্ছেন। ঠিক আছে ?

শ্বাস নেওয়া হল সম্পূর্ণভাবে পবিত্র আত্মার উপর নির্ভর করাকে বুঝায়। এর মানে হল, আপনি এটা বিশ্বাস করছেন যে ঈশ্বরের আত্মা আপনাকে নেতৃত্বদান এবং পরিচালনা দেবেন। আপনি বিশ্বাস করছেন যে ঈশ্বর এমনটা করতে যাচ্ছেন। এবং যেহেতু ঈশ্বর আমাদেরকে আত্মার অধীনে থাকতে আদেশ দিয়েছেন সেহেতু এটা হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা তাঁকে বিশ্বাস করতে পারি।

তাই, যখন আমরা শ্বাস নিচ্ছি তখন আমরা বলছি যে,‘‘প্রভু আমাকে পূর্ণ কর, দয়া করে আমার ক্ষমতায়ন কর, আমাকে পরিচালনাদান কর। আর তুমি যে এমনটা করবেই সেটা আমি বিশ্বাস করি।’’

সুতরাং, আমরা শ্বাস ত্যাগ করি এবং শ্বাস নিই। আমরা পাপস্বীকার করি এবং ঈশ্বরের আত্মার উপর নির্ভর করি। এটা শ্বাস-প্রশ্বাসের মতই, আপনি কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজ দিনে একবার করেন না। আপনি সারাদিন ধরেই এই শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যান। তাই এই কাজটাও আপনি সারাদিন ধরেই করুন, শ্বাস ত্যাগ এবং শ্বাস গ্রহণের মত। যখনই পাপ আসবে তখন শ্বাস ত্যাগ (পাপ স্বীকার করুন) করুন এবং শ্বাস নিন (ঈশ্বর যে আপনার জীবনে কাজ করবেন তাতে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখুন।)

এখন, প্রথম দিকে এটা কিছুটা উদ্ভট লাগতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস করুন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটা আপনার কাছে শ্বাস-প্রশ্বাসের মতই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

ঈশ্বর আমাদেরকে নতুন ধরণের জীবনের জন্য তৈরী করেছেন। প্রথমটি হল পাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া এবং তাঁর সাথে পূর্ণ ঘনিষ্ঠতায় জীবনযাপন।

এটা হল আমাদের শেষ একটি উদাহরণ। ধরুন, স্কুবা ডুবের সময়ে আপনার অক্সিজেনের ট্যাংকটি খালি হয়ে যাচ্ছে। আপনার অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং আপনি জলের ওজন স্তরের নিচে ডুবে গেছেন। এই কারণে আত্মিক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে পবিত্র আত্মার ক্ষমতার উপর গুরুত্ব দেওয়া এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। এটা ছাড়া, খ্রীষ্টিয় জীবন যাপনের জন্য আমাদের যেসব আত্মিক উপকরণগুলো প্রয়োজন সেগুলো থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ব। আমাদের নিজেদের পাপের বোঝা এবং মানুষ হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতা আমাদেরকে নিমজ্জিত করে রাখে। এটি আমাদেরকে পিষে ফেলে আর আমরা একে ঠিকমত মানিয়ে উঠতে পারি না। কিন্তু যখন একজন পবিত্র আত্মার শক্তি দ্বারা পূর্ণ হয় তখন তিনি আমাদেরকে এমন সব চমৎকার জায়গায় নিয়ে যান যেখানে আমরা জানতামও না যে আমরা সেখানে ছিলাম। আমাদের শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজটি চালিয়ে যেতে হবে।